ঘুমের ঘোরে
ঘুমন্ত বাড়িতে আমি হেঁটে বেড়াই নিঃশব্দে
আমার ঘুম যে আজ হারিয়েছে
অন্ধকারের আবছা চাদর গায়ে জড়িয়ে
পায়ের পর পা ফেলে আমি চক্র কাটতে থাকি
ঘরের সিলিংয়ে ঝুলে থাকা ফ্যানটা
ঘুরতে থাকে নিজের মতো করেই
আর কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলা সম্ভবনাগুলো
ফ্যানের বাতাসে উড়তে থাকে এলোমেলোভাবে
টুকরো হয়ে যাওয়া বিশ্বাসের ফালিগুলো
ঘরের কোন এক কোণে পড়ে থাকে অবহেলায়
আর বেখেয়ালে বন্ধ করতে ভুলে যাওয়া
বাথরুমের ট্যাপ থেকে জল পড়তে থাকে
অবিরত ধারায় ঠিক যেনো সময়ের মতন
বিপরীত স্রোতে যার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই
ওদিকে আমার অবান্তর পায়চারিও থামে না
যেমনটা থামে না দেয়ালে ঝুলে থাকা
ধুলো ঢাকা ঘড়িটার সেকেন্ডের কাঁটাটা
ঠকঠক শব্দে চক্র কাটতেই থাকে
অষ্টপ্রহর শেষে ঘুমন্ত বাড়িটা যখন জেগে ওঠে
তখন আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছি
কুচি করা কাগজগুলো স্বপ্নঘোরে জুড়ছি
আর টুকরো কাঁচের ফালিগুলো জোড়ার আশায় ধরছি
( এপ্রিল ২৪, ২০১৩ )